ছয় দিনেও পুরোপুরি সচল হয়নি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-বিধ্বস্ত কলকাতা। শহরের বহু স্থান এখনও অচল। আম্ফানের আঘাতের চিহ্ন কলকাতার সর্বত্র। কলকাতাকে পুরোপুরি সচল করতে মাঠে রয়েছে বিভিন্ন বাহিনী-দপ্তর-সংস্থার প্রায় আড়াই লাখ সদস্য। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতাকে পুরোপুরি সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আম্ফান এত জোরে আঘাত হেনেছে যে, তার ক্ষত সারাতে হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার পড়ে আছে। কলকাতার একাংশ জুড়ে জল ও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। টেলিফোন ও ক্যাবলের তারও শহরের সর্বত্র ছিড়ে পড়ে আছে। টেলিভিশন দেখতে না পেরে অনেকেই খবরাখবর ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত।
কলকাতাকে পুরোপুরি সচল করতে জোরালো চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেনাবাহিনী, জাতীয় উদ্ধার বাহিনী , পুলিশসহ রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কলকাতাকে সচল করতে মমতা বন্দোপাধ্যায় তৎপর। গতকাল ঈদুল ফিতরের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্য সচিবালয় নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক ও প্রতিটি দপ্তরের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা।
ভিডিও কনফারেন্সে মমতা কড়া নির্দেশ দেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে দ্রুত সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। কাজ চালাতে হবে যুদ্ধকালীন মনোভাবে। বিদ্যুতের সংযোগ দিতে হবে দ্রুত। পানীয়-জলের ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে। মমতা চান না বিদ্যুৎ ও জল নিয়ে কলকাতাজুড়ে বিক্ষোভ হোক, সড়ক অবরোধ হোক।
গত বুধবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে আম্ফান আঘাত হানে। লন্ডভন্ড হয়ে যায় কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুৎ, জল, মোবাইল পরিষেবা চালু করার দাবীতে শুরু হয় বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঈদের দিন জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন বলেন, ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ চালু হয়েছে কলকাতায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি সচল হয়ে যাবে কলকাতা।

No comments:
Post a Comment