আমরা যখন লকডাউন মেনে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছি, ঠিক সেই সময়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ ভ্রমণে বেরোনোর সুযোগ পাচ্ছে পেঙ্গুইনরা। তাদের একোরিয়াম দেখতে যাওয়ার, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এবার জানা গেল, সম্প্রতি কানসাস সিটি চিড়িয়াখানার কয়েকটি পেঙ্গুইন বেড়াতে এসেছিল নিকটবর্তী নেলসন এটকিনস্ মিউজিয়াম অব আর্টসে।
মিউজিয়ামে রক্ষিত নামীদামী চিত্রকর্মগুলো তাদের গভীর মনোযোগের সাথে ঘুরে দেখতে দেখা যায়। মানুষ শিল্পবোদ্ধাদের মতোই বেশ সময় নিয়ে তারা মিউজিয়াম ঘুরে দেখে। কোন কোন শিল্পকমের্র সামনে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
মিউজিয়ামের ডিরেক্টর জুলিয়ান জুগাজাগুইশিয়া তাদের শিল্পবোধ দেখে অবাক হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, "আমি ভেবেছিলাম ফরাসী চিত্রকর ক্লড মনেটের আঁকা ‘ওয়াটার লিলি’ চিত্রকর্মটি ওদের বেশি পছন্দ হবে। কারণ ওটা খুবই মনোহর আর শান্তিদায়ক। কিন্তু ওরা শুধু ওটাই নয়, অন্যান্য শিল্পগুলোও অবাক হয়ে প্রত্যক্ষ করেছে"। এই ডিরেক্টর জানান, করোনা ভাইরাসের মহামারীর পর কিভাবে আবার মিউজিয়ামগুলো খোলা যায় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি চিড়িয়াখানার পরিচালক র্যান্ডি হুইটহফকে ফোন করেছিলেন। সেমসয় মজার ছলেই বলেছিলেন, ‘তোমার কয়েকটা পেঙ্গুইনকেও তো আমার মিউজিয়াম দেখতে পাঠাতে পারো’।
তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম র্যান্ডি কথাটা হেসে উড়িয়ে দেবে। কিন্তু সে বলল, অবশ্যই। বলো কোনদিন পাঠাবো? অবশেষে মে মাসের ৬ তারিখে ৩টি পেঙ্গুইন তাদের কেয়ারটেকারের সাথে মিউজিয়ামে বেড়াতে আসে। পরে তাদের সেই সফরের একটি ভিডিও মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
চিড়িয়াখানা এবং মিউজিয়ামের কর্মীরা একত্রে পেঙ্গুইনদের এই শিল্প দর্শন সফল করে তোলে।
মিউজিয়ামের পরিচালক আরও জানান, তিনি পেঙ্গুইনগুলোর সাথে স্প্যানিস ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, আমি পশুপাখির ভাষা বুঝতে পারদর্শী। ওদের দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। যেভাবে তারা মনোযোগ দিয়ে ছবি দেখেছে তা অবাক হওয়ার মতোই।



No comments:
Post a Comment