প্রতীকী ছবি
প্রেমে পড়লে মানুষ কত কি-ই না করে! তবে প্রেমে অবশ্য অনেক রকম পাগলামিই চলে, কিন্তু বিয়ের পরে যদি পরকীয়ায় মন মজে তাহলে ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর কিছু। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমান দিলেন এক ব্যক্তি। আর তিনি যা কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা জানলে সকলেই আঁতকে উঠতে বাধ্য।
কেরালার এক বেসরকারি ব্যাংককর্মী নিজের স্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন গোখরা সাপ। ভেবেছিলেন স্ত্রীকে হত্যা করে অন্য এক নারীকে বিয়ে করবেন ও তার সব সম্পত্তি দখল করে নেবেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে জানাজানি হয়ে যায় স্বামীর ষড়যন্ত্রের কথা। পরে পুলিশ তাকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সুরজ। তার স্ত্রীর নাম ছিল উত্তরা। সুরজ ভেবেছিলেন, স্ত্রীকে হত্যা করে অপর কোন নারীকে বিয়ে করবেন। সেজন্য তিনি ইন্টারনেটে সাপের ভিডিও দেখতেন। গত ৭ মে কোল্লাম এলাকায় নিজের বাড়ীর ভেতরে উত্তরাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বাপের বাড়ীর লোকজন জানতে পারেন, তিনি সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন। এই কথা শুনে তাদের সন্দেহ হয়। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে আরও একবার তাকে সাপে কামড়েছিল। তিনি কোনরকমে বেঁচে উঠেছিলেন। তার একটি এক বছরের ছেলে আছে।
স্থানীয় পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ২৭ বছর বয়সী সুরজ আগেও উত্তরাকে সাপের কামড় খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। সুরেশ নামে এক বন্ধুর সহায়তায় তিনি অত্যন্ত বিষাক্ত একটি সাপ জোগাড় করেন। সেই সাপ উত্তরাকে কামড়ায়। তিনি একমাস হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর কিছুদিন তিনি বাপের বাড়ীতে ছিলেন।
গত এপ্রিল মাসে সুরেশের সহায়তায় সুরজ একটি গোখরা সাপ জোগাড় করেন। ৬ মে রাতে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে সাপটিকে ছেড়ে দেন। সাপটি দু’বার উত্তরাকে দংশন করে। সুরজ তখন খাটে বসে সব লক্ষ্য করছিলেন। পরদিন তিনি উত্তরাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে উত্তরা মারা গিয়েছেন। উত্তরাকে কামড়ানোর পরে সুরজ সাপটিকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই গোখরা পালিয়ে যায়। সুরজ সারা রাত সাপটিকে খোঁজাখুজি করেন। পরে পুলিশ তার বাড়ীতেই পায় সাপটিকে।
তদন্তকারীরা জানান, সুরজ বিয়ের সময় পণ বাবদ টাকা ছাড়াও ১০০টি সোনার কয়েন পেয়েছিলেন। সেই কয়েনেই তার লোভ ছিল। ইচ্ছে ছিল সেসব নিজের করে পাওয়া।

No comments:
Post a Comment