পরকীয়ার মোহে স্বামীকে মাটি চাপা; ৩ মাস পর উদ্ধার লাশ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 26 May 2020

পরকীয়ার মোহে স্বামীকে মাটি চাপা; ৩ মাস পর উদ্ধার লাশ





কথায় বলে নদী যতক্ষণ নিজের সীমানা বজায় রেখে চলে ততক্ষণই সব ঠিকঠাক, আর নিজের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেই দুকূল ছাপিয়ে আসে বন্যা, ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় সবকিছু। নারীও ঠিক তেমনই, যতক্ষণ মর্যাদা বজায় রেখে চলে তার মমতাময়ী স্পর্শে সুখে ভরে ওঠে সংসার। কিন্তু সে যদি বেলাগাম হয়, ঘটে যেতে পারে মারাত্মক কিছু। এমনই এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন ওপার বাংলার এক নারী। তার সেই কাণ্ড জানলে চোখ রীতিমত কপালে ওঠার জোগার।   

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৩মাস পর মাটির নিচ থেকে কাঠমিস্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কাঠমিস্ত্রীর স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ওই কাঠমিস্ত্রীর পরিবার।

মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘের পাড় থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় পুলিশ ওই লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশটি ওই গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) । তিনি কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতেন।

কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৪০) এর সাথে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মম্মথ বাড়ৈর দীঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি ও মনোমালিন্য চলতো। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। কিন্তু এতেও কোন কাজ হয়নি। সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে কমলেশকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হয়।

কমলেশের নিখোঁজের ঘটনায় গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডির সূত্রধরে পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রামের বিভিন্ন জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। আজ মঙ্গলবার মম্মথর মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামে এক লোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক মম্মথর সহযোগিতায় কমলেশকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঘেরপাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পরে। এ ঘটনায় জড়িত কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ, সুবর্ণার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ, সহযোগি বিষ্ণু বাড়ৈ ও মম্মথর বন্ধু কালু বাড়ৈকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা কমলেশের লাশ শনাক্ত করেন। উদ্ধারকৃত লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad