নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশ। সেখানে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এদিকে বিক্ষোভে গুলি চালানোর কথা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শুক্রবার উত্তর প্রদেশে বিজনৌরে পুলিশের গুলিতেই যে সুলেমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন, তা সেখানকার স্থানীয় পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু যে সুলেমান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের দাবি, বিক্ষোভের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই ছিল না। সুলেমান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের কয়েক দিনে গুলিতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। কানপুরে এক পুলিশ অফিসারের গুলি চালানোর ভিডিও ভাইরালও হয়েছিল। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্তা ডিজি ওপি সিংহ শনিবারও পুলিশের গুলি চালানোর দাবি মানেননি। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাত্ করে দেন। তাঁর দাবি ছিল, বিক্ষোভকারীরাই আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। নিজেদের মধ্যে গুলি চালিয়েই তাঁরা মরেছেন। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ যদি সত্যি গুলি চালিয়ে থাকে, তা হলে তদন্ত করে, আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলেন ডিজি।
শুক্রবার নমাজের পরে গোলমাল শুরু হয়েছিল বিজনৌরে। এদিন সেখানকার পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী বলেন, 'আমাদের এক কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়েছিল কয়েক জন বিক্ষোভকারী। তিনি তাদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায়, তাঁকে লক্ষ্য করে এক বিক্ষোভকারী গুলি চালায়। পালটা গুলিতে সুলেমান নামে ওই বিক্ষোভকারী নিহত হয়। বিক্ষোভকারীদেরই গুলিতে আনিস নামে আর একজন বিক্ষোভকারীও নিহত হয়।'
সুলেমানের পরিবারের অবশ্য দাবি, ২০ বছর বয়সী ওই যুবক সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সুলেমানের ভাই শোয়েব মালিক বলেন, 'ভাই মসজিদে গিয়েছিল। মসজিদ থেকে বেরোনোর পরেই গোলমালের মধ্যে পড়ে যায়।'
শোয়েবের দাবি, 'পুলিশ সুলেমানকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছে।'
সূত্র: কালের কণ্ঠ
No comments:
Post a Comment