নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুরুষের তুলনায় মহিলারা এই রোগে অনেক বেশী আক্রান্ত হয়। যে সকল পেশায় দীর্ঘক্ষন মাথা নীচু করে কাজ করতে হয় (স্বর্ণকার, ড্রাইভার, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, সেলাইকারি ইত্যাদি) বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তারাই এই রোগের ভুক্তভোগী।
ব্যথা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যথা তীব্র হলে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে ছন্দপতন। অনেকে ব্যথার জন্য ঘাড়ের ওপরে হাতই তুলতে পারেন না। কাঁধ নাড়াতেও বেশ কষ্ট হয়। অসহ্য ব্যথায় অনেক সময় শরীরের পেশি শক্ত হয়ে ওঠে। সাধারণত যে কারণগুলোর জন্য কাঁধে ব্যথা হয় এবং ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে “ফ্রোজেন শোল্ডার” অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা।
পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। পেশি, টেনডন, লিগামেন্ট সবকিছুই আক্রান্ত হয়। তীব্র ব্যথা হয়। রাতে ব্যথা বাড়ে। নড়াচড়ায় ব্যথা বাড়ে। কাঁধ নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথানাশক ওষুধ দেয়া হয়। কাঁধের অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেয়া হয়। এ সময় ব্যায়াম করা যাবে না এবং জোরে কাঁধ নাড়ানো যাবে না, তবে রোগীকে ধরে অল্প ব্যায়াম (যা চিকিৎসক দেখিয়ে দেবেন) করিয়ে দেয়া যেতে পারে।
ফ্রোজেন শোল্ডার ছাড়াও আরো অনেক কারণে কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পেপটিক আলসারের ব্যথাও অনেক সময় বাম কাঁধে চলে আসে। পিত্তথলির প্রদাহের ব্যথা ডান কাঁধে অনভূত হতে পারে। অনেকের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পরে কাঁধে জড়তা সৃষ্টি হতে পারে।
এ রোগ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিত। তিনি পরীক্ষা করে সহজেই এই রোগটি নিশ্চিত করতে পারেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment