নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজস্থানের বিকানের থেকে ৩০ কিমি দূরে দেশনোক অবস্থিত কারণিমাতা মন্দির। এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মন্দিরটির মধ্যে বসবাসরত বিশ হাজারের অধিক ইঁদুর। অনেকেই মন্দিরটিকে 'ইঁদুরের মন্দির' হিসেবেও চেনে। চতুর্দশ শতকের হিন্দু সন্ন্যাসিনী কারণি মাতা তার অনুগামীদের কাছে পূজিত হতেন মা দূর্গার অবতার হিসেবে। তার রহস্যময় অন্তর্ধানের পরে তৈরি হয় ছোট্ট এই মন্দিরটি।
মন্দিরের কালো ইঁদুর নাকি কারণি মাতার বংশধর, এদের বলে 'কাব্বাস'। আর সাদা ইঁদুর তো কারণি মাতা স্বয়ং ও তার ছেলেরা!এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। অনেকে বলেন, কারণি মাতার সৎ ছেলে লক্ষণ কপিল সরোবরে জল খেতে গিয়ে ডুবে গেলে, মাতা যমরাজকে আহ্বান করেন তার ছেলেকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য। যমরাজ লক্ষণ ও কারণি মাতার সব ছেলেকে ইঁদুর হিসেবে পুনর্জন্ম দেন।
আবার একটি তথ্য অনুযায়ী, ২০ হাজার সৈনিক কাছাকাছি একটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এসে দেশনোকে আশ্রয় নেন। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসার মতো গুরু অপরাধ করা সত্ত্বেও কারণি মাতা তাদের প্রাণ নেননি। বরং, ইঁদুর হিসেবে মন্দিরে থাকার ব্যবস্থা করেন। এই মন্দিরে ইঁদুরের এঁটো খাওয়া অসম্ভব পুণ্যের কাজ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছর কারণি মাতা উৎসবের সময়ে এখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে।
সেসময় যারা সেখানে পুজো দিতে আসেন, তারা ইঁদুরের এঁটো প্রসাদ খেয়ে পুণ্য অর্জন করে থাকেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। এসময় একমাত্র ভাগ্যবান ভক্তরা কালো ছাইরঙা ইঁদুরের ভিড়ে একটি সাদা ইঁদুরকে দেখতে পান। এ অঞ্চলে ইঁদুর মারা অপরাধ মানা হয়। তাই কেউ পারতপক্ষে এখানকার কোনো ইঁদুর মারার কথা ভাবতে পারেন না। যদি কেউ ভুল করেও একটি ইঁদুর মেরে ফেলেন, তাহলে তাকে অনুরূপ সোনার ইঁদুর বানিয়ে দিতে হয়।
পি/ব
No comments:
Post a Comment