নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের অভিসন্ধিমূলক প্রচারে তুরস্ক সামিল হওয়ায় ভারত ক্ষুব্ধ হয়। তাছাড়া আঙ্কারা সরকার যেভাবে রাষ্ট্র সঙ্ঘে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট করতে নামে বা তাদের অবস্থানকে যেভাবে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রস্তাবিত তুরস্ক সফর বাতিল করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বড় বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে ২৭/২৮ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন। সেখান থেকে তাঁর তুরস্কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তিনি আর সেখানে যাবেন না।
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের মতকে সমর্থন জানিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি ভারতের সিদ্ধান্তকে 'কাণ্ডজ্ঞানহীন' বলে অভিহিত করে বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না। সেজন্য আলাপ-আলোচনা, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমেই এই সমস্যাকে মিটিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সংঘর্ষের মাধ্যমে নয়।’
ভারত বরাবরই বিভিন্ন ফোরামে কাশ্মীরকে 'অভ্যন্তরীণ সমস্যা' বলে জানিয়েছে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘের মঞ্চে এরদোগানের ওই মন্তব্য নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘ভারত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কাশ্মীর সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা তুরস্কের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি, এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করার আগে, আমাদের কাছে এসে ভালোভাবে ইস্যুটি যেন তাঁরা জেনে নেয়।’
পি/ব
No comments:
Post a Comment