গোষ্ঠী সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত নানুর, চলল গুলি: হত নিরীহ গ্রামবাসী - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 21 October 2019

গোষ্ঠী সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত নানুর, চলল গুলি: হত নিরীহ গ্রামবাসী



নিজস্ব প্রতিনিধিঃ      নারী ঘটিত পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল নানুর। চলল গুলি।  সেই অশান্তির মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক নিরীহ গ্রামবাসী। মৃত বৃদ্ধার নাম শঙ্করি বাগদি (৫৫)। ঘটনাটি ঘটে  বীরভূমের নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার দুপুরের এই ঘটনার পর থেকে রীতিমত থমথমে। গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।


এই ঘটনার পর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় এলাকায়।  জানা গেছে, উদয় বাগদির সাথে ওই গ্রামের মাল পাড়ার দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব। উদয় পেশায় মাছ চাষি। পুকুর থেকে ফেরার পথে শম্ভু মালের মারামারির ঘটনা ঘটে। উদয় জানায়,  মালপাড়ার শম্ভু বাগদির স্ত্রীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে তাদের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। তাঁকে মারধোর করা হয়। তার মাকে গুলি করে মারা হয়। 


এই ঘটনার জেরে তৃণমূল এবং বিজেপির রঙ লেগেছে। বিজেপির পক্ষে অনুপম হাজরা এবং বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, যে তৃণমূল করবে না, তাকে মারা হবে। যাকে মারার জন্য লক্ষ্য করা হয়েছিল, তিনি বিজেপির কর্মী। এলাকায় ভালো সংগঠন গড়ে উঠছিল। সেটা থামাতেই আমাদের কর্মীকে মারতে চেয়েছিল। কিন্তু গুলিটা লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে কর্মীর মায়ের বুকে লাগে।


 ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়  গ্রামবাসীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শঙ্করির।মৃতার ছেলের দাবি, সে  তৃণমূল করত। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, ঘটনাটি একটি গ্রাম্য বিবাদ। এর সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। জেলা পুলিশ সুপার শ‍্যাম সিং জানান, ঘটনা স্থলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায় সহ পুলিশ বাহিনী আছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।




পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad