প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; মেঘের আড়ালে থাকা কংথং গ্রামটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। মেঘালয় রাজ্যের একটি ছোট পাহাড়ি গ্রাম কংথং। গ্রামের মানুষেরা মূলত ঝাঁটার কাঠির গাছ চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গ্রামে মানুষদের পড়াশোনার প্রতি বেশ উৎসাহ রয়েছে, প্রায় প্রতিটি পরিবারের শিশুরা স্কুলে যায়। তবে গ্রামটি অন্য এক কারণে অনন্য হয়ে রয়েছে। বহুকাল থেকেই এখানকার বাসিন্দারা আজব এক রীতি মেনে চলছে।
জন্মের পর এখানে সদ্যোজাত শিশুর কোনো নামকরণ করা হয় না।এই গ্রামের সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো, প্রত্যেক গ্রামবাসীর নিজস্ব একটা সুর রয়েছে। একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর মা নিজেই তার পছন্দের সুরটি শোনান সবাইকে, যার মধ্য দিয়ে পরিচিত হয় শিশুটি। আবার কখনো কখনো আত্মীয় প্রতিবেশীরাও সদ্যজাত সন্তানের মাকে তাদের পছন্দের সুরটি শোনান।
মায়ের যে সুরটি পছন্দ হয়, সেটিই হয়ে ওঠে তার সন্তানের পরিচয়।কংথং গ্রামটিতে প্রত্যেক মানুষের নিজের নামের বদলে জড়িয়ে রয়েছে নিজের একটি সুর, যা একান্তই তার নিজস্ব আর তা অন্য সবার থেকে স্বতন্ত্র। স্থানীয় ভাষার এই সুরকে বলা হয়ে থাকে ‘জিঙ্গরওয়াই লওবেই’।কংথং-এর পাহাড়ী পরিবেশে নিয়ত শুনতে পাওয়া যায় তাদের সেই সুরগুলো। এই সুর শুনতে অনেকটাই পাখির ডাকের মতো মনে হয়ে থাকে। আর এ কারণেই গ্রামটি ‘হুইসলিং ভিলেজ’ নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment