পাথরকুচি পাতার গুনাগুণ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 21 October 2019

পাথরকুচি পাতার গুনাগুণ



প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক ;

ব্যাথা হলে: 
অনেক সময় শিশুদের পেটে ব্যাথা করে। এক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস ৩০-৪০ ফোটা হালকা গরম করে শিশুর পেটে মালিশ করলে পেট ব্যাথা ভাল হয়ে যাবে। তবে পেট ব্যাথা কি না তা নিশ্চিত হতে হবে।

ডায়রিয়া, কলেরা বা আমাশয় হলে: 
এ ধরনের সমস্যায় ৩ মিলি. পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ জিরে এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে একটানা কয়েকদিন খেলে উপকার হবে। 



বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে:
মৌমাছি, ভ্রমরা, বিচ্ছু ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কোনো পোকায় কামড়ালে পাথরকুচি পাতার রস গরম করে কামড়ানো স্থানে সেঁক দিলে ব্যাথা সেরে যাবে।

পেট ফাঁপা হলে: 
পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায়, হালকা বায়ু, প্রস্রাব আটকে যায় এক্ষেত্রে আধা চামচ পাথরকুচি পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে অল্প জলের সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে। তাহলে এধরনের সমস্যা দূর হবে। 



রক্তপিত্তে: 
পিত্ত জনিত ব্যাথায় রক্ত ক্ষরণ হলে সকাল-বিকেল ২ বার পাথরকুচি পাতার রস পান করলে এ সমস্যা দূর হবে।

সর্দি হলে:
 সর্দি বসে গেলে বা পুরাতন হয়ে গেলে পাথরকুচি পাতা ছেঁচে রস করে এবং তা গরম করে ২ চা চামচ পরিমাণ সকাল-বিকেল ২ বার পান করতে হবে।



 মেহ: 
ঠাণ্ডা-সর্দির কারণে অনেক সময় শরীরে ফোঁড়া হয় এবং ব্যাথা করে। একেই বলে মেহ। এমতাবস্থায় পাথরকুচি পাতার রস এক চা চামচ করে টানা এক সপ্তাহ পান করলে মেহ ভাল হবে। 

কাটা-ছিড়া: 
অনেক সময় কেটে গেলে বা চাপ খেয়ে থেঁতলে গেলে টাটকা পাথরকুচি পাতা হালকা তাপে গরম করে কাটা-ছিড়ার স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। 



মৃগী রোগ হলে:
 মৃগী ব্যারাম উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস রোগীর মুখে দিলে সাথে সাথে উপকার লক্ষ্য করা যায়। 

শিশুদের পেট কিডনিতে পাথর হলে: 
তবে পাথরকুচির সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধী গুণাগুণ হল কিডনী এবং গলব্লাডারে পাথর হলে ২-৩ টি পাথরকুচি পাতা রস করে অথবা চিবিয়ে খেলে পাথর আস্তে আস্তে অপসারণ হয়ে যাবে। 



জন্ডিস হলে: 
জন্ডিস বা লিভারের যে কোনো সমস্যায় পাথরকুচি পাতার রস খুব উপকারী। 

উচ্চ রক্তচাপ: 
মূত্রথলির সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পাথরকুচি খুব উপকার করে। 



পাইলস: 
শুধু পাইলস নয় অর্শ্ব-গেজ হলেও পাথরকুচি পাতা খুব উপকারী। এক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণ গোল মরিচ মিশিয়ে পান করতে হবে। 




পি/ব

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad