মেয়েটির ঘনিষ্ঠ হন:
কোনো মেয়ের সঙ্গে মিলিত হতে চাইলে সবার আগে তার সঙ্গে একটা মানসিক যোগাযোগ গড়ে তুলুন। তার সঙ্গে কথা বলুন। আচরণ হোক বন্ধুত্বপূর্ণ।
হয়ে উঠুন তার পছন্দের মানুষ:
পছন্দের পুরুষ হওয়ার আগে কিন্তু পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠাটা জরুরি। আর, কোনো মেয়ের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে এই দ্বিতীয় ধাপটাই সব চেয়ে গোলমেলে। এই ধাপেই বুঝতে পারবেন, সুযোগ পাচ্ছেন, না কি হারাচ্ছেন! সুযোগ পাওয়ার জন্য ধীরে ধীরে মেয়েটির পছন্দ-অপছন্দ জানুন। তার সঙ্গে গল্প করুন। শেয়ার করুন নিজেদের কমন ইন্টারেস্ট। দেখবেন, মেয়েটিও আপনার সঙ্গে কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকছেন!
রাতে সক্রিয় হন:
আরে, এখনই উত্তেজিত হয়ে উঠবেন না। এখানে আমরা একেবারেই কথা বলা বা টেক্সট করার ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার কথা বলছি। খেয়াল রাখুন, কথোপকথন শুরু করার জন্য সন্ধেটা সব চেয়ে ভাল। সন্ধে থেকেই একটা-দুটো মেসেজ পাঠাতে থাকুন। তাহলে উল্টো দিকেও কথা বলার আগ্রহ বাড়বে। তারপর, একটু রাত জেগে না হয় কথাই বলুন! তবে ভুলেও এই ধাপে সেক্সের কথা তুলবেন না।
দিনে-রাতে হয়ে উঠুন আলাদা মানুষ:
রাতে গল্প করার সময়ে দু-একটা দুষ্টুমির ইঙ্গিত দিলেও সকালে সে সব প্রসঙ্গ একেবারেই তুলবেন না। তাহলেই একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে। মেয়েটিও আপনাকে পছন্দ করবেন। তিনি বুঝতে পারবেন, আপনি যৌনকাতর নন!
তাকে পছন্দ করেন, এটা বলবেন না:
আপনি যে তাকে পছন্দ করেন, তার প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্ট- সেসব কোনো কিছুই জানানোর দরকার নেই। তাহলে তিনি ভেবে নেবেন আপনি শুধুই যৌনতা চাইছেন! এবং, সঙ্গে সঙ্গে পছন্দের তালিকা থেকে খারিজ করে দেবেন আপনাকে।
আলতো স্পর্শের সময়:
এই পাঁচটি পর্যায় ঠিকঠাকভাবে পেরিয়ে এলে নিশ্চিত হতে পারেন, আপনার সুযোগ আছে। এই পাঁচ ধাপে ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছে আপনাদের। অতএব, এবার কথা বলার সময়ে তার খুব কাছ ঘেঁষে বসতে পারেন। কিন্তু, এটা বুঝতে দেবেন না যে ইচ্ছে করেই কাছ ঘেঁষে বসছেন। আপনিও ব্যাপারটা খেয়ালই করেননি, এটাই তো স্বাভাবিক- ঠিক এই মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে কিছু দেয়া-নেয়ার সময় আলতো করে স্পর্শও করতে পারেন।
এগোনোর সময়:
এবার প্রায় সরাসরি এগোনোর সময়! যখন আর কেউ নেই, আলতো করে তার আঙুল জড়িয়ে নিতে পারেন নিজের আঙুলে। সবার সামনেও কিছু বলতে পারেন তার কানের খুব কাছে ঠোঁট নিয়ে গিয়ে। দেখবেন, তিনি আপনার স্পর্শের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
খেলতে থাকুন:
উঁহু! এখনো বিছানায় যাওয়ার কথা বলা হয় নি। তার সঙ্গে মিষ্টি দুষ্টামি আর পায়ের সামনে ছোট ইটের কনা বা হাতে কিছু নিয়ে খেলতে থাকুন। রাতে দুষ্টুমি মেশানো মেসেজ পাঠানোর সংখ্যাটা আরো একটু বাড়ান। তবে, সীমার মধ্যে থেকে। দিনের বেলায় চলতে থাকুক আলতো স্পর্শের খেলা। দেখবেন, মাঝে মাঝে মেয়েটি নিজেই স্পর্শ করছেন আপনাকে। মানে, তিনি তৈরি!
ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিন:
দুষ্টু মিষ্টি কথা হয়েছে বলেই যে আপনারা যখন খুশি তাই করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। তাকে আগে আপনার নিজের মনের কথা খুলে বলুন। উত্তরের প্ররিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি কী করবেন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment