প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; এলাকায় কে থাকবে আর কে বাংলাদেশে থাকবে তা কি ঠিক করে দেবে নরেন্দ্র মোদী? সেটা কখনই হতে দেবো না। শনিবার বিকালে উত্ত্র ২৪ পরফনা জেলার হাবড়াতে এনআরসির বিরুদ্ধে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিলে এসে এই কথা বললেন হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, নোটবাতিলের সময় অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন, সেই রকম ভাবেই এনআরসির আতঙ্কে অনেকেই মারা যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে আমাদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে দুই জন মানুষ এনআরসি আতঙ্কে মারা গিয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের পাশে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তিনি সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন। তবে এইসব অসহায় মানুষের পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলে, ,আছেন এবং থাকবেন। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, অসমে এনআরসিতে ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ বাঙালিকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যাদের আধার কার্ড, রেশন কার্ডের লিংক কেটে দেওয়া হচ্ছে।
তাদের ভোটার কার্ড কেটে দিয়ে ই ভোটার করে দেওয়া হচ্ছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। পুজোর পর জেলার প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল হবে। জেলার বারাসত, ব্যারাকপুর, বনগা, বসরহাটে এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা এন আর সি বাংলায় চালু হয়ে দেবো না। বাংলা থেকে হাজার হাজার মানুষ রক্ত দেবো তবুও এনআরসির নামে বাংলার একজন মানুষকেও বিচ্ছিন্ন হতে দেবো না।
বিজেপি আগেই বলে দিয়েছে, বাংলা থেকে দুই কোটি মানুষকে বিতাড়িত করবে এন আরসির নামে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতেও বাংলা থেকে কাউকে তিনি বিতাড়িত করতে দেবেন না। আমরা সাধারন মানুষকে নিয়ে রাজপথে আছি। আমরা দেখতে চাই, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর কতো ক্ষমতা।
এদিন জ্যোতিপ্রিয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে আমার মনে হয় রাজ্যপাল তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করেননি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এদিন তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও বিজেপি সাংসদ অর্জিন সিং প্রসঙ্গে বলেন, তারাও লাইনে আছে। মুকুল রায় ও অর্জুন সিং এখন তৃনমূলে যোগদান করতে চায়। তারা লাইনে আছে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment