দেবশ্রী মজুমদারঃ বাংলার ফুল গাছ দিয়ে চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ করার লক্ষ্য বাংলাদেশ ভবনের। সেই উদ্দেশ্যে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে সোমবার হল বৃক্ষরোপণ। ভবনের প্রাঙ্গণ সাজলো বেশ কিছু বকুল, ফাগুন বৌ এবং নাগকেশরের চারায়। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অধ্যাপক আশা মুখার্জি একটি নাগকেশরের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণের সূচনা করেন ।
বাংলাদেশ ভবনের পরিকল্পনা আছে ভবনের গোটা চত্বর দেশী ফুলের গাছ দিয়ে এমনভাবে সাজানো যাতে বছরের সব ঋতুতেই কোনও না ফুল ফুটে থাকে সেখানে । দ্বিতীয় দফায় লাগানো হবে রঙ্গন, শিউলি, টগর, কেয়া স্থলপদ্ম । চারা গুলো সংগৃহীত বিশ্বভারতীর উদ্যান বিভাগের কাছ থেকে, বলে জানা গেছে । বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "বাংলার ফুল, কিছু গাছ এখানে লাগানো হবে।
এবছর বর্ষা নেই। শরৎ চলে যেতেই আসবে হেমন্ত ও শীত। আস্তে আস্তে সব ঋতুর গাছ লাগানো হবে এখানে। যাতে বছরের সবসময় কিছু না কিছু ফুল ফুটে থাকে। থাকবে জারুল ও হিজলের মত গাছও"। উল্লেখ্য, ফুল ও সবুজ গাছ শুধু কবি মন কেন, সকলের প্রিয়! রবি, নজরুল জীবনানন্দের লেখনীতে উঠে এসেছে কত গাছ গাছালি ও ফুলের নাম! রবির "ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল", কিম্বা নজরুলের "তোমার নাগকেশরের ফণী"।
জীবনানন্দ তো লিখেছেন- "পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে"। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যে অজস্র ফুলের নাম। তার মধ্যে কিছু বিদেশী ফুলের নামকরণ তিনিই করেছেন। অগ্নি শিখা, তারাঝরা, বনপুলক, বাসন্তী ইত্যাদি তো আছেই।
পি/ব
No comments:
Post a Comment