বেসিক সায়েন্স নিয়ে গবেষণায় এগিয়ে দেওয়ার জন্য প্রেরণা শিবির বিশ্বভারতীতে

 দেবশ্রী মজুমদারঃ     শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, ফিজিক্স, গণিত বা কেমিস্ট্রির মত বেসিক সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করে এগিয়ে যাওয়ার অনেক ক্ষেত্র আছে। এই ভাবনাকে উসকে দিতেই, দেশ বিদেশের নামকরা বক্তাদের হাজির করা হয় নতুন প্রজন্মের পড়ুয়াদের কাছে। সেই জায়গা অবশ্যই বিশ্বভারতীর সুসংহত বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগ।



২০০৯ সাল থেকেই চলছে এই শিবির। এবার বক্তা হিসেবে থাকছেন খড়্গপুর আই আই টি,ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন অফ কালটিভেশন, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রিনিটি কলেজ অফ ডাবলিন থেকেও আছেন। দেশের প্রতিটি বোর্ডের ওয়ান পার্সেন্ট টপাররা এই এই শিবিরে যোগ্য। প্রথম হাফে দুজন টপাররা থাকেন। ফরাক্কার দিল্লি পাবলিক স্কুল এনটিপিসির পড়ুয়া সম্পূর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এখানে মডেল দেখিয়ে বিজ্ঞানীরা আমাদের বোঝাচ্ছেন।



আজকে ফিজিক্স ল্যাবে থ্রিডি প্রিন্টার, ফটো এলেক্ট্রিক ইফেক্ট এবং প্রিজম স্পিলিটিং দেখানো হয়। খুব ভালো লেগেছে। একই ভাবে গলসি উচ্চবিদ্যালয়ের অন্তরা মুখোপাধ্যায় জানান, এখানে খুব ভালো লেগেছে। ২ টা থেকে ৫ পর্যন্ত গোল্ডেন রেনের মত এমেজিং আভিজ্ঞতা হল এখানে।   



উল্লেখ্য,  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্বভারতীর সুসংহত বিজ্ঞান বিভাগের ৫ দিনের ১১ তম ডি এসটি ইন্সপায়ার শিবির শুরু হয়েছে লিপিকা অডিটরিয়ামে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।  এই শিবিরে ১৬ থেকে ১৭ বছরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহন করেন।


 রাজ্যের ২৯টি স্কুল থেকে ১৩৫ জন ছাত্র ছাত্রীরা এই শিবিরে অংশ নেন।  ল্যবে হাতে কলমে শিক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান সম্বন্ধে বক্তৃতা দেন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে। ভারত সরকারের উদ্দেশ্য একটাই ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে উৎসাহিত হতে পারে ও গবেষণার কাজে যুক্ত হতে পারে তার জন্যই এই শিবির আয়োজন। এই ছাত্র-ছাত্রীরাই পরবর্তীকালে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিজ্ঞান নিয়ে কাজ  করবেন বলে আশা রাখেন ভারত সরকার।


 দিনের পর দিন টেকনোলজি এগিয়ে যাচ্ছে তাই ভারত যাতে অন্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে না পারে তাই এই ধরনের উদ্যোগ শুরু করছেন ভারত সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক করার কাজ করে চলেছেন। বিশ্বভারতীতে এই শিবিরে বড় বড় স্কুল যেমন অংশগ্রহণ করেছে দেখা গেছে জেলার গ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন।



পি/ব