দেবশ্রী মজুমদারঃ নাবালিকা অপহরণের মামলায় আসামীকে একসাথে দুটি সাজা ঘোষণা শোনাল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিশেষ আদালত। সোমবার বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য আসামীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় যথাক্রমে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাবাস এবং পাশাপাশি পক্সো আইনের চার ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি, এদিন আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয় ওই নাবালিকাকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। এই মামলায় সরকারী আইনজীবী ছিলেন প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন প্রদীপ সিনহা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ মার্চ ও নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির ফেরার পথে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ তাকে রামপুরহাট থানার বালিয়া মৃত্যুঞ্জয়পুরের ছোঁড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমন বাউড়ি অপহরণ করে।
ঘটনার দিন ওই অপহৃতা নাবালিকার পরিবার সর্বত্র সন্ধান চালিয়েও কোন হদিশ পায় নি। ঘটনার পরের দিন ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় জেলার মাড়গ্রাম থানার তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে আসামীর জামাইবাবুর বাড়ি থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। অপহরণের মামলায় মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে আসামী জামিন পায়। কিন্তু মূল মামলার সাথে পক্সো ধারা যুক্ত হওয়ার পর ফের আসামীর জেল হেফাজত হয় এবং জেল হেফাজত থাকাকালীন তার বিচার হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় যথাক্রমে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাবাস এবং পাশাপাশি পক্সো আইনের চার ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করে বিশেষ আদালত। এই দুটি ধারায় দায়ের হওয়া মামলার শুনানীর ভিত্তিতে এই রায় দান বলে জানা গেছে আদালত সূত্রে।
পি/ব
No comments:
Post a Comment