দেবশ্রী মজুমদারঃ ফের নতুন করে অস্ত্র আইন মামলা যুক্ত করল ধৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এবার নলহাটি থানা তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করল। যদিও পরিবারের দাবি পুলিশ নতুন করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৫ জুন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ২৮ জন সহ আরও অনেকে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সূর্যদেব ভল্লা এবং অনন্ত মোহন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।
ওই ঘটনা ধ্রুব সাহার মস্তিষ্ক প্রসূত বলে পুলিশের দাবি। এছাড়াও গতবছর ময়ূরেশ্বরের একটি গোয়াল ঘরে গোমাংস রাখা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তার পিছনেও ধৃত ধ্রুব সাহার ইন্ধন রয়েছে। ওই বছর ময়ূরেশ্বর থানার বেজা গ্রামে ধর্মীয় উকানিমূলক পোষ্টার পড়ে। তাতে লেখা ছিল মুসলিমদের নিয়ে হিন্দু প্রধান গ্রাম দখল করতে আসছে তৃণমূল। ওই পোষ্টার ধ্রুব সাহার নির্দেশে সাঁটানো হয়েছে।
এরকম তিনটি মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে নলহাটি থানার বানিওড় গ্রামে ঢোকার মুখে বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সহ সভাপতি ধ্রুব সাহাকে গ্রেফতার করে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। পরদিন তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক অমিত কুমার চক্রবর্তী তাকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন। শারীরিক অসুস্থতার কারনে তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে নলহাতি থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনের মামলা দায়ের করে।
এদিন নলহাটি থানার পুলিশ আদালতকে জানায়, ধৃত ধ্রুব সাহার বাড়ি থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয়েছে। ফের তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে নলহাটি থানার পুলিশ। সোমবার তাকে ফের আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়চৌধুরী ময়ূরেশ্বরের গোমাংস রাখা এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া মামলায় জামিন মঞ্জুর করে।
সরকারি আইনজীবী সৈকত হাতি জানান, ধৃত ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র আইন মামলা দেওয়ায় তাকে আট দিন পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। তবে ময়ূরেশ্বরের দুটি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। দুটি মামলা একসঙ্গে চলবে। ধ্রুব সাহার দাদা তারক সাহা বলেন, “আমাদের বাড়িতে একদিন রাতে পুলিশ এসেছিল। কোন তল্লাশি চালায়নি। অস্ত্র এবং বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার ভিত্তিহীন। পুলিশ বদলা নিতে নতুন করে মামলা দিচ্ছে”।
পি/ব
No comments:
Post a Comment