ফের বসিরহাটে এনআরসির আতঙ্কে আত্মহত্যা - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 22 September 2019

ফের বসিরহাটে এনআরসির আতঙ্কে আত্মহত্যা




প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ;          উওর ২৪ পরগনা জেলার বসিহাট মহাকুমার, বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সোলাদানার গ্রামে এনআরসির আতঙ্কে ফের আত্মহত্যা। মৃতের নাম  কামাল হোসেন মন্ডল (৩৬)। পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক।বেশ কয়েকদিন ধরে জমির দলিল উপযুক্ত নথী কাগজপত্র নিয়ে চিন্তায় ছিল সে। কয়দিন ধরে বসিরহাটের বিডিও অফিসে, আসে ওই ব্যাকক্তি, অনলাইনে নথিপত্র নিয়ে হাটাহাটি করছিল নানান দিকে।


 এমনকি এক নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ, এর কাছে একাধিকবার  যায়। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আশ্বাস দেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু হতাশা আতঙ্ক পরিবারটা লেখাপড়া না জানার জন্য হতাশাগ্রস্ত হয়ে আজ রবিবার ভোর বেলায় বাড়ির পিছনে আমবাগানে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে  আত্মহত্যা করে কামাল হোসেন। জানা যায়, গতকাল বিকেল বেলায় কাগজপত্র সঠিক করার জন্য বসিরহাট ১'নম্বর বিডিওর কাছে এসেছিলো ওই ব্যািক্তি।


 ৭১ সালের আগে জমির দলিল না থাকায়  হতাশাগ্রস্ত, আতঙ্ক, চিন্তা দুর্বিষহ করেছিল মন্ডল পরিবারকে।তার স্ত্রী টুকটুকি বিবি, ছোট দুটি পুত্র সন্তান সহ এই শ্রমিক পরিবার একমাত্র জীবিকা নির্বাহ  করতো কামাল হোসেন মন্ডল। সারা রাত্রি ধরে চিন্তা, আতঙ্ক, ভয় গ্রাস করেছিল কামাল হোসেন মন্ডল তার স্ত্রী টুকটুকি্কে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  স্ত্রীর  সঙ্গে গতকাল শনিবার রাত্রে গভীর রাত পর্যন্ত কাগজপত্র নিয়ে আলোচনা করে সে। রবিবার সকাল বেলা  বাবা শুকুর আলী, বলেন একমাত্র রোজগার শেষ সম্বল শেষ হয়ে গেল।


স্থানীয় বাসিন্দা  ফুটবলার বাকীবিল্লাহ মন্ডল, প্রথমে দেখতে পান আমবাগানে কামাল হোসেন মন্ডল এর মৃতদেহ ঝুলছে, তারপর বসিরহাট থানা খবর দিলে,পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  শ্রমিক পরিবারের মৃত্যুর ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে। উল্লেখ্য, ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে মাটিয়ার কৃপালপুর এর মন্টু মন্ডল, হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।


 তার আগে হিঙ্গলগঞ্জ এর  বাঁকড়া গ্রামের বছর (৫৫) এর আলিয়া বেওয়ার মৃত্যু হয়েছে। তারপরে এনআরসি আরেকটা মৃত্যু কেড়ে নিল, এবার ঠিকানা বসিরহাটের  সোলাদানা গ্রামের। এই ঘটনার জেরে গোটা বসিরহাট এলাকায় জুড়ে  আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে চলছে বিডিও অফিসে  এনআরসির জন্য কাগজপত্র জোগাড় করার লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে  অসুস্থ হয়ে পড়ছে  গ্রামবাসীরা।



পি/ব 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad