প্রেস কার্ড নিউজ ডেস্ক ; সেই সৃষ্টির আদি কাল থেকে নারী শরীর নিয়ে মানুষের উৎসাহের শেষ নেই । সমাজে, বিশেষত আমাদের ভারতীয় সমাজ শারীরিক মিলন ও নারী শরীরকে রহস্যজনক ও এই বিষয়ে আলোচনা করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অথচ এই বিষয়ে যথাযোগ্য জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন। অজ্ঞানতার কারণে অনেক সময় ঘটে বিপর্যয়। তাই আজ কাল অনেক স্কুলে চালু হয়েছে যৌন শিক্ষা।
প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষরাও অনেকেই শরীরের গঠন সম্পর্কে অবগত নন। ইভ অ্যাপিল নামের একটি ক্যান্সার রিসার্চ চ্যারিটির সমীক্ষা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ পুরুষ ডায়াগ্রামে নারীর যো’নি চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়। জানলে অবাক হবেন যে ১০০০ জনের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সেক্স নিয়ে মনে হাজার উন্মাদনার শেষ না থাকলেও অধিকাংশ মানুষের ঘাটতি রয়েছে গোড়াতেই। এমনকি মহিলারাও তাদের শরীর সম্পর্কে অবগত নন।
শরীরের খুঁটিনাটি জায়গা গুলিকে কি বলে ও তাদের কাজই বা কি সে সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।এই কারণে বিশেষ করে গ্রামের দিকে মহিলাদের শরীরে ডানা বাধে বিভিন্ন অসুখ। যা পরে মারণ রোগেও পরিণত হয়। মহিলারা তাদের অসুবিধার কথা খুলে বলতে সঙ্কোচ করে ডাক্তারের কাছে, এমন কি নিজের ঘরের লোকের কাছেও। পুরুষরা নিজেদের অজ্ঞানতার কারণে মহিলাদের নিয়ে যেতে চায় না ডাক্তারের কাছে। তারা সমস্যার গুরুত্ত্ব বুঝতে পারে না সময় থাকতে। নারীস্বাস্থ্যের ব্যাপারে বেশিরভাগ পুরুষই কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন।
দেখা গেছে ২১ শতাংশ মানুষ এই নিয়ে কথাই বলতে চান না। নারীদের মধ্যে ব্রে’স্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ এটি। যো’নির খেয়াল রাখা মহিলাদের অবশ্যই উচিত। ত্বকে পরিবর্তন, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ, যৌনক্রিয়ার সময়ে ব্যথা অথবা অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ এসব লক্ষ করলে কখনই তা চেপে থাকা উচিত না। প্রত্যেকটি পুরুষেরও কর্তব্য তার স্ত্রীর খেয়াল রাখা। ক্যান্সারের লক্ষণ চিহ্নিত করতে পারলে সঙ্গিনীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারেন তারা। সঠিক সময়ে রোগ ধরা পরলে বাঁচতে পারে একটি জীবন।
পি/ব
No comments:
Post a Comment