মায়ের সঙ্গে তাঁর চেয়ে ১৫ বছরের ছোট কর্মচারীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে আঁতকে উঠেছিলেন ছেলে। মায়ের এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি যাদবপুরের বিজয়গড়ের যুবক সুরজিৎ কোলে।দিন তিনেক আগে মা ও কর্মচারীর সঙ্গে সুরজিতের গোলমাল শুরু হয়েছিল। তারই জেরে বৃহস্পতিবার সুরজিৎকে
খুন করে পালায় কর্মচারী সন্দীপ সর্দার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের কিনারা করে যাদবপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার বারাকপুরে বোনের বাড়ি থেকে সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে পালানোর সময় সুরজিতের
আলমারি থেকে যে টাকা ও গয়না লুঠ করেছিল, সেগুলিও উদ্ধার করেছে। গোটা ঘটনার কথা কি সুরজিতের মাও জানতেন? পুলিশকে মহিলা জানান, যখন সন্দীপ সুরজিৎকে খুন করছে, তখন তিনি পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে যে সন্দীপের অবৈধ সম্পর্ক ছিল, তা তিনি স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁর দাবি, তিনি খুনের বিষয়ে কিছু জানতেন না। যদিও এই তথ্য পুলিশ যাচাই করছে। জেরা করা হচ্ছে ওই মহিলাকে। সন্দীপের মোবাইল থেকে মালকিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থার বেশ কিছু ছবি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে খুন হন যুবক। একটি বঁটি দিয়ে তাঁকে আঘাত করে খুন করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে, সুরজিতের মোমোর দোকান আছে। সেখানে কাজ করে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার বাসিন্দা সন্দীপ। খুনের পর সে পালায়। তাকে গ্রেপ্তার করার পর সে স্বীকার করে যে, সুরজিতের সঙ্গে তার গোলমাল হয়। সুরজিতের বাবা তাঁর মাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। এরপরই সন্দীপের সঙ্গে ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়।
No comments:
Post a Comment