যে বদ অভ্যাসগুলো অকাল মৃত্যু ডেকে আনে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 15 June 2019

যে বদ অভ্যাসগুলো অকাল মৃত্যু ডেকে আনে

নিজের অজান্তেই আমাদের অনেকে অকালমৃত্যুর দিকে ধাবিত হই। আর এ ক্ষেত্রে ক্যাটালিস্টের কাজ করে আমাদেরই কিছু বদ অভ্যাস। এইসব রোজকেরে অভ্যাসগুলিই ধীরে ধীরে আমাদের শেষ করে দেয়।আর জল যখন গলা ছাড়িয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তখন দৌড়াই ডাক্তারের কাছে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার থাকে না। তাই বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এখন থেকেই সচেতন হন, না হলে কিন্তু বিপদ!

বেশি খাওয়ার অভ্যাস যেমন খারাপ, তেমনি একেবারে কম খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া এমনই কিছু অতি সাধারণ ভুলের কারণে আমাদের শরীর ভেতর থেকে খারাপ হতে শুরু করে। আর এই খারাপ একসময় ডেকে আনে বড় কোনো রোগকে, যা থেকে অকালমৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

যে সকল বদ অভ্যাসের কারণে আমাদের অকালে মৃত্যু হয়:

অতিরিক্ত মাংস খেলে: কোনো কিছুই বেশি খাওয়া উচিত নয়। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে মাত্রাতিরিক্ত মাংস খেলে তার কুপ্রভাব পড়ে কিডনিতে। আসলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে কিডনি সেই অতিরিক্ত চাপ নিতে পারে না, ফলে তা অকালে বিকল হতে শুরু করে।

প্রস্রাব চেপে রাখলে: আমরা অনেকেই নানা কারণে প্রস্রাব চেপে রাখেন। এমনটা করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যেমন ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, ইউরেমিয়া এবং নেফ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা নিশ্চয় সকলেরই জানা আছে যেকোনো ধরনের সংক্রমণই শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খেলে: অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে তার কুপ্রভাব পড়ে কিডনির ওপর। প্রসঙ্গত, যদি দেখেন প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন বেরুচ্ছে, তাহলে বুঝবেন কিডনি খারাপ হতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শিগগিরই চিকিৎসা শুরু না করলে কিন্তু বিপদ!

পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে: অতিরিক্ত পেইন কিলার বা ব্যথানাশক খেলে ধীরে ধীরে কিডনি তার কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, লিভারের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়।

বেশি লবণ খেলে: শরীরে প্রবেশ করা অতিরিক্ত লবণকে শরীর থেকে বের করে দিতে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। ফলে কিডনি অল্পতেই হাঁপিয়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

ঠিকমতো না ঘুমালে: শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। এমনটা না হলেই কিডনি খারাপ হতে শুরু করে। কারণ কি জানেন? ঘুমানোর সময়ই কিডনি নিজের ক্ষতের চিকিৎসা করে। ফলে ঠিকমতো না ঘুমালে কিডনির পক্ষে নিজের দেখভাল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে ধীরে ধীরে কিডনি খারাপ হতে শুরু করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে: ঠিকমতো জল না খেলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, সেই সঙ্গে কিডনিও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরে বিষ বা টক্সিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলেই দেখা দেয় হাজারো জটিল রোগ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad