দুই দলের সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদে ডোমকলের কুচিয়ামোড়া এলাকা। শনিবার সকালে ব্যাপকহারে গোলাগুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জন তৃণমূল কর্মীর, আহত একাধিক। ঘটনায় অভিযোগ কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ডোমকল এস.ডি.পি.ও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।
উল্লেখ্য- গত লোকসভা নির্বাচনের আগে দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হন ডোমকলের পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন। আলতাফ হোসেনের খুনের ঘটনায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন তার ছেলে আসিফ ইকবাল। অন্যদিকে সেই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাউস সেখ দিন কয়েক আগে জেল থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরে। এরপর থেকেই আলতাফ হোসেনের ছেলেকে ঘটনার প্রধান সাক্ষী হিসেবে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে কাউস সেখ।
শনিবার (আজ) সকালে আলতাফের ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে আলতাফের বাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় কাউস সেখ। আসিফকে না পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ভাই সোহেল রানা ও কাকা খাইরুদ্দিন সেখকে গুলি করে দুষ্কৃতিরা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই দুই জনের। এরপর শুরু হয় দুই দলের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবিনিময়। বোমা ও গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয় আরও জনাকয়েক তৃণমূল কর্মী। আহতদের ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় আলতাফ হোসেনের ভাইপো রহিদুল সেখের।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপর একজনকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোলা সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন বলে দাবি মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের।

No comments:
Post a Comment