বিয়ে আগে না রেজিস্ট্রি, বচসার মাঝে পালাল বর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 21 April 2019

বিয়ে আগে না রেজিস্ট্রি, বচসার মাঝে পালাল বর



বাসরঘরে নয় হবু বরের রাত কাটল শ্রীঘরে বিয়ের আসরে বর-কনের অশান্তি এতটাই চরমে ওঠে যে ছাদনাতলায় না গিয়ে বিয়েবাড়ি ছেড়েই পালাল হবু বর মেয়ের বাড়িও পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে বরকে তারপর সটান থানায় কনেও ততক্ষণে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে ফেলেছে অতএব রাতটা শ্রীঘরে কাটিয়ে সকালে জামিন নিয়ে ঘরে ফিরতে হল হবু বরকে রেজিস্ট্রি আগে, না বিয়ে- তা নিয়ে অশান্তির জেরে যে জেলের হাওয়া খেতে হবে তা আঁচও করতে পারেনি পাত্র তাই বাড়ি ফেরার সময় বলে গেল, 'বিয়ে যদি না-ও হয় ক্ষতি নেই, ও মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে করব না' ত্তপুকুরের মেয়ে তৃণার সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে ঠিক হয়েছিল নদিয়ার আরণঘাটার শ্রীবাস হালদারের শ্রীবাস পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তৃণার বাবা শ্যামল বিশ্বাসের দত্তপুকুরে একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার পাত্র পেয়ে বেজায় খুশি ছিলেন দত্তপুকুরের বিশ্বাসরা শুক্রবার ছিল বিয়ের আসর বিশ্বাসরা আয়োজনে খামতি রাখেননি সন্ধে থেকেই নিমন্ত্রিতরা আসতে শুরু করেন কিন্তু সন্ধে গড়িয়ে গেলেও বরপক্ষের দেখা না মেলায় চিন্তিত হয় পড়েন সকলে ফোন করে জানতে পারেন, বরের বেরোতে দেরি হয়ে গিয়েছে সন্ধের লগ্নে নয়, বিয়েটা তাই রাতের লগ্নেই সারা যাবে খানিক অসন্তুষ্ট হলেও কথা বাড়াননি তৃণার বাবা শ্যামল হাজার হোক পাত্রপক্ষ এ দিকে সন্ধ্যায় লগ্ন জেনে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে আগেভাগে আনিয়ে রেখেছিলেন শ্যামল বৃদ্ধ রেজিস্ট্রার অপেক্ষা করতে করতে ততক্ষণে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন কোনও মতে তাঁকে হাতে-পায়ে ধরে বসিয়ে রাখেন তৃণার বাবা

ঘণ্টাখানেক বাদে বরযাত্রীরা এসে পৌঁছয় বাড়ির মেয়েরা প্রদীপ, কুলো নিয়ে বরণ করতে ছুটলেন তারপর বরকে নিয়ে নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে বসানো হল ততক্ষণে খাবার জায়গায় চূড়ান্ত ব্যস্ততা বেশ কয়েক ব্যাচ খাওয়া হয়ে গিয়েছে পাত্র এসেছে জেনে নিমন্ত্রিতদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি দুই ছেলের উপর ছেড়ে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে চলে আসেন শ্যামল বৃদ্ধ রেজিস্ট্রারকে করজোড়ে শ্যামল বলেন, 'অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়েছি আর দু'মিনিট দিন রেজিস্ট্রিটা সেরে ফেলি' তবে সেই দু'মিনিট যে আসবে না, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি শ্যামল প্রথমে পুরোহিত কাছে গিয়ে বলেন, 'আপনি প্রস্তুত থাকুন রেজিস্ট্রিটা সেরেই আমি বর-কনে নিয়ে ছাদনাতলায় আসছি' মেয়েকেও সে কথা বলে হবু জামাইকে আনতে যান শ্যামল তারপরেই ধাক্কাটা খান হবু জামাই শ্রীবাস বলে ওঠে, 'রেজিস্ট্রি পরে হবে বিয়ে করতে এসেছি, আগে বিয়েটা করি' শ্যামল বোঝানোর চেষ্টা করেন, রাত অনেক হয়েছে বৃদ্ধ ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে আর বসিয়ে রাখা সম্ভব নয় সে কথা কানে তুলতেই রাজি ছিল না শ্রীবাস বরের চেয়েও এককাঠি উপর দিয়ে যাচ্ছিল বরযাত্রীর দল বিয়েবাড়িতে তখন তুমুল হইচই ততক্ষণে ছুটে এসেছেন তৃণার দুই দাদাও সকলে মিলে বোঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু বরপক্ষ নাছোড় তাঁদের যুক্তি, রেজিস্ট্রারকে আটকে রাখার দরকার নেই এক সপ্তাহ বাদে রেজিস্ট্রি করে নেওয়া যাবে

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad