এক কথায় আপেক্ষিকভাবে শারীরিক ও মানসিক কামনা মেটানোর ইলেকট্রনিক
ডিভাইস। নারী
ও পুরুষের যৌনাঙ্গের আকৃতির মতো হয় এই ডিভাইস।
মোবাইলের
মতোই এই ডিভাইসের ব্যাটারি আছে। চার্জ দিলেই তা ফের
নতুন। তাই
একবার কিনলে গ্রাহকদের মেয়াদ নিয়ে আর কোনও চিন্তা নেই।
খোলা
বাজারে এর বিক্রির কোনও সরকারি অনুমতি নেই। কিন্তু অনলাইনে নির্দিষ্ট
কিছু সাইটের মাধ্যমে অবাধে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। জাপান
ও চিন থেকে এদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে চলে আসছে সেক্স টয়। চলছে দেদার
বিক্রিও। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন বা দেশের মূলস্রোতের
অনলাইন শপিং সাইটে সেক্স টয় পাওয়া যায় না। কিছু সাইটে
গেলে খুব অল্পদামে বিকোচ্ছে সেক্স টয়। দাম শুরু হয় ১০০ টাকা
থেকে। ৫০০০
হাজার টাকা বা তার বেশি দামের সেক্স টয়ও পাওয়া যায় এই শপিং সাইটগুলোতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
এ শহরের একজন সেক্স টয় ব্যবসায়ী নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন। তিনি বলেন, “এখন
ডিলডোর বাজার অনেক চড়া। মহিলা গ্রাহকদের অর্ডারের
সংখ্যা অনেক বেশি। মানুষের
চিন্তাধারা বদলাচ্ছে,
আধুনিক হচ্ছে। তাই টাকা দিয়ে যৌনসুখ
কিনছে। পুরুষ
গ্রাহকদেরও অর্ডার আসে। কিন্তু মহিলাদের তুলনায়
তা অনেক কম।”
উচ্চবিত্ত হোক বা মধ্যবিত্ত পরিবার। কেউ যে তাঁর নিভৃতে
প্রেম করবেন,
তার কোনও উপায় নেই। চাকরিও নেই। ধার
করে আপনি হোটেল ভাড়া করবেন ? জানাজানি হলে পারিবারিক সম্মানের ভয়। এদিকে
মানসিক ও শারীরিক চাহিদা চড়চড় করে বাড়ছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে একরকম
ভয়, মেয়েদের ক্ষেত্রে সমস্যা অন্যরকম। তিনি জানালেন, যে
মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবেন তাকে আপনি ঠিক কতটা বিশ্বাস করেন
? আগামী দিনে সম্পর্ক ভেঙে গেলে সে যে আপনাকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসাবে
না, তার গ্যারান্টি কে দেবে ? মেয়েদের সমস্যা
অন্যরকম। আপনার
সঙ্গিনী গোপন মুহূর্তের ছবি তুলে রেখে আপনাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারেন। সেই
দায়ও বা কে নেবে
? এ তো গেল তরুণ প্রজন্মের কথা। দাম্পত্য জীবনেও
বাড়ছে অশান্তি। স্বামী-স্ত্রী
১২-১৪ ঘণ্টা অফিস করে এসে ক্লান্ত। নিজের জীবনে কোনও সময়
নেই। কোনও
ছুটি নেই। কিন্তু
শরীরের চাহিদা তো থেমে নেই। পরকীয়া সম্পর্কেও আছে
নানারকম ঝুঁকি। তাই
সব আশঙ্কার সমাধান হয়ে উঠেছে সেক্স টয়।
Post Top Ad
Sunday, 21 April 2019
বাড়ছে সেক্স টয়ের বিক্রি, অধিকাংশ ক্রেতা নারী!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment